Wednesday, October 16, 2024
HomeCrypto BDবিনামূল্যে বিটকয়েন আয় করুন 6টি বৈধ এবং নিরাপদ উপায়

বিনামূল্যে বিটকয়েন আয় করুন 6টি বৈধ এবং নিরাপদ উপায়

কিভাবে বিটকয়েন আয় করা যায় বা কিভাবে বিটকয়েন ইনভেস্ট করব? যে 6 টি উপায়ে মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

আপনাদের একটা কমেন্ট সম্পর্কে বলতে চাই। এক বড় ভাই কমেন্ট করেছিলো যে ভাইয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি তো বাংলাদেশী অবৈধ। এখন আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে যে বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ না অবৈধ ? এক কথায় উত্তর হচ্ছে না, বাংলাদেশের ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈদ্যনা। এটা  সম্পূর্ণ অবৈধ।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক একটা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিটকয়েন কে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু ইন্ডিয়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধ আর ইন্ডিয়ার নিজস্ব একটা ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে যার নাম হচ্ছে গাড়ি টোকেন। যা লঞ্চ করেছেন সালমান খান।

যাইহোক বিটকয়েন আয় এর 6 টি উপায় সম্পর্কে জেনে নেই

০১. মাইনিং

বিটকয়েন মাইনিং হয়তো অনেকেই শুনেছেন আবার অনেকেই আগে থেকে শুনে থাকবেন। যারা নতুন আছেন তারা বিটকয়েন মাইনিং বিষয়টা বুঝতে হলে আগে আপনাকে বুঝতে হবে যে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে। বিটকয়েন একটা অদৃশ্য মুদ্রা যা ধরা যায় না আবার দেখাও যায় না। এটা কাজ করে ব্লকচেইন পদ্ধতির মাধ্যমে। ব্লকচেইন পদ্ধতিটি হচ্ছে একটা কম্পিউটারের সাথে আরেকটা কম্পিউটার ইন্টারকানেক্ট থাকা, মানে একটা সাথে আরেকটা কম্পিউটারের সংযোগ থাকা, যে সংযোগের মাধ্যমে মূলত বিটকয়েন ট্রান্সফার হয়।

মনে করুন, A কম্পিউটার এর কাছে দুইটা বিটকয়েন আছে, এখন একটা বিটকয়েন সে কম্পিউটার Bয়ের কাছে বিক্রি করবে, এই A কম্পিউটার থেকে B কম্পিউটারে বিটকয়েন যাবার সময় যদি কোন কম্পিউটার এটা কি হ্যাক অথবা হের্ফের করতে চায় তাহলে সবগুলো কম্পিউটার ঝামেলা সৃষ্টি হবে এবং যে কাজটা করেছে সে ধরা পড়ে যাবে। আর এটাই হচ্ছে ব্লকচেইন পদ্ধতি। এইজন্য বিটকয়েন অনেক সিকিউর যা হেক করা প্রায় অসম্বব। যেহেতু করে নির্দিষ্ট কোন মালিক নেই সেজন্য সবাই মিলে তাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, আর এই নিয়ন্ত্রণ হয় ব্লকচেইন পদ্ধতির মাধ্যমে। যেমন রেল লাইনের একটা বগির সাথে আরেকটা বগির সম্পর্ক থাকে।

এখন এই ব্লকচেইন পদ্ধতির মাধ্যমে কিছু কম্পিউটার কাজ করে বিটকয়েনের কোর্টকে ডিকোড করার জন্য, আর ডিকোড করাকে বলা হয় বিটকয়েন মাইনিং। এককথায় উৎপাদন বা বিটকয়েন তৈরি করা। এই বিটকয়েন বানাতে সুপারফাস্ট কম্পিউটারের প্রয়োজন হয় যা অনেক ব্যয়বহুল। তবে মজার কথা হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং করে মাসে ১০ থেকে ৬০ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে প্রথমে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হবে একটা ভালো কম্পিউটার বানানোর জন্য। বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য বেশকিছু ভালো মানের গ্রাফিক্স কার্ড কিনতে হয়। যেগুলো আমাদের রেগুলার কম্পিউটার সাথে সংযুক্ত করলে আমরা বিটকয়েন মাইনিং করতে পারব।

০২. ওয়েবসাইট বিটকয়েন আর্নিং

ইন্টারনেটে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যা ছোট ছোট কিছু কাজের বিনিময়ে বিটকয়েনের ক্ষুদ্রতম একক সাতোশি দিয়ে থাকে। সাতোশি হচ্ছে বিটকয়েনের ছোট একটা রূপ।

০৩. বিটকয়েন ট্রেডিং

 বিটকয়েন আয়ের অন্যতম সেরা একটি উপায় হচ্ছে বিটকয়েন ট্রেডিং। অনেকে বিটকয়েন ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করছে। বিটকয়েন ট্রেনিং হচ্ছে- আপনি বিটকয়েন কিনে রাখবেন আর সময়ের সাথে সাথে যখন বিটকয়েনের দাম বেড়ে যাবে তখন সুবিধা অনুযায়ী আপনি বিটকয়েন টা বিক্রি করে দেবেন। তবে এক্ষেত্রে অনেক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় এবং বিটকয়েন 
সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে হয়।

০৪. অ্যাপসের মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করা

চতুর্থটি হচ্ছে অ্যাপসের মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করা এমন। অনেক অ্যাপস আছে যেগুলোতে গেম খেলার মাধ্যমে আপনি বিটকয়েন করতে পারবেন। এছাড়াও আরও অনেক স্পিনার অ্যাপস রয়েছে যেগুলোতে একাউন্ট খুলে স্ক্রিন করার মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

০৫. ইনভেস্ট করে বিটকয়েন আয় করা

ইনভেস্ট করে বিটকয়েন আয় করার মাধ্যম হচ্ছে তিনটি। একটা হচ্ছে ওয়েবসাইট দ্বিতীয় টা হচ্ছে অ্যাপস আর তৃতীয় টা শেয়ারবাজার ইনভেস্ট। ওয়েবসাইট ইনভেস্ট হচ্ছে যে ওয়েবসাইটগুলোতে বিটকয়েন ইনভেস্ট করা যায় সে ওয়েবসাইটগুলোতে ডলার ইনভেস্ট করে বিটকয়েন কিনে রাখা। তারপর সেগুলো বিট শেয়ার এর মত কাজ করবে।যেভাবে স্টক মার্কেট কাজ করে। আর এভাবেই ধীরে ধীরে বৃদ্দি হতে থাকবে। আমার জানামতে বিটকয়েন ইনভেস্ট করা বেস্ট সাইট হচ্ছে কয়েনবেস। দ্বিতীয় টা হচ্ছে অ্যাপসের মাধ্যমে ইনভেস্ট করা। প্লে স্টোরে এমন অনেক অ্যাপস যেগুলোতে বিটকয়েন ইনভেস্ট করা যায়। আমাদের দেশের 

এমন অনেক অ্যাপস আছে যেগুলোতে টাকা দিয়ে বিটকয়েন ইনভেস্ট করা যায় তবে এই অ্যাপস গুলো বেশি বিশ্বাসযোগ্য না। আপনি ইনভেস্ট করার পর টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইনভেস্ট করার আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং জেনে-বুঝে ইনভেস্ট করতে হবে। তবে তৃতীয় বিষয়টি শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার অনেক ভালো একটা মাধ্যম এবং অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি উপায় বিটকয়েন আয় করার। বর্তমান সময়ে বিটকয়েনের মূল্য দিন দিন বাড়তে থাকার কারণে শেয়ারবাজারে অনেকেই বিটকয়েনের শেয়ার কিনে বিটকয়েন আয় করছে। আমার মনে হয় আপনারা যারা বিটকয়েন আয় করতে চান তারা তিনটা বিষয় ফলো করতে পারেন। প্রথমটি হচ্ছে বিটকয়েন মাইনিং করতে পারেন দ্বিতীয়টি হচ্ছে ট্রেনিং করতে পারেন এবং তৃতীয়টা হচ্ছে শেয়ারবাজারে বিটকয়েন ইনভেস্ট করতে পারেন। এই তিনটির মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

বাকিগুলোতে আপনারা আয় করতে পারবেন কিন্তু এক্ষেত্রে সময় অনেকটা বেশি লেগে যাবে।

০৬. বিটকয়েন টক

বিটকয়েন টক হচ্ছে একটি ফোরাম পোস্টিং সাইট। যেখানে বিজ্ঞান সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা ও নানা সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। যদি আপনি এখান বিটকয়েন আয় করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে এই ফোরামে একটি প্রফাইল ক্রিয়েট করে, সেখানে নিয়মিত পোস্ট করতে হবে বিটকয়েন সম্পর্কে। যখন আপনার প্রোফাইলটি রাঙ্ক হবে তখন আপনার পোস্টগুলোতে স্পন্সার দেওয়া হবে যার মাধ্যমে আপনি একটা হিউজ পরিমান বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

এই ছিলো বিটকয়েন আর্নিং এর ৬ টি উপায়। শেষের দিকে যে কথাটা না বললেই নয়, আমাদের দেশে এবং বিদেশে এমন অনেক অ্যাপস এবং সাইট রয়েছে যা আপনাকে লোভ দেখিয়ে টাকা ইনভেস্ট করতে চাইবে। তারা বলবে যে, ইনভেস্ট করলে বিটকয়েন দ্বিগুণ হয়ে যাবে এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি বিটকয়েন আয় করতে পারবেন এই ধরনের প্রতারণা থেকে দূরে থাকবেন কারণ প্রতারিত হওয়া বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে অনেক সহজ একটা বিষয়।

Check Recent Potential Airdrops

01. Berachain Airdrop

02. Moonbix Update Claim Process

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments